আমাদের সম্পর্কে
পৃথিবীসম পড়ার চাপ, সাপ্লি, হতাশা। মেডিকেল লাইফের দুঃসহ পথে একাকী হাঁটা। আড্ডা, বন্ধুত্ব, মাস্তি,গীটারের টুংটাং,গলা ছেড়ে গান ধরা,ছোটখাট ডকুমেন্টারি-মিউজিক ভিডিও তৈরির চেষ্টা।কেউ কেউ মাইকেল জ্যাকসনের গানের সাথে নিজের অজান্তেই নেচে উঠে,আবার কেউ কেউ ক্লাসিক্যাল নাচে পারদর্শী।দুই-একজন আবার সবাইকে হাসায়,আড্ডা মাতিয়ে রাখে।আর এসবের কোনোটাতেই যে ছেলে বা মেয়েটা নেই,সে কলেজের কোনো এক কোনে বসে গুনগুন গান করে,অথবা বাড়ির-পরিবারের সবার কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।সবাই বিচ্ছিন্ন।কিন্তু প্রত্যেকের মধ্যেই যে একটি করে সংস্কৃতিমনা মানুষ অন্তরালে বাস করছে,তা কি কেঊ খেয়াল করেছে? বলছিলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শুরুর দিকের গল্প,কিন্তু এ গল্প সারাদেশের সব মেডিকেলের সার্বজনীন নয় কি? Together We Enjoy Our Pain -এই মূলমন্ত্র নিয়ে ০৯/০৯/০৯ এ স্ফুরণের পথচলা শুরু শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সর্বপ্রথম সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে।
যে ছেলেটা মফঃস্বল থেকে প্রথমবারের মত শহরে এসে খাবি খায়,আজ তার জন্য সাহায্যের হাত,বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় স্ফুরণ।এখানে যেমন আছে সিনিয়রদের স্নেহ,তেমনি আছে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নবযৌবনপ্রাপ্ত জুনিয়রদের বেড়ে উঠার তাগিদ।যেমন আছে সাংস্কৃতিক সত্বার বিকাশের সুযোগ,তেমনি আছে পিছিয়ে পড়াদের জন্য উৎসাহ আর সঞ্জীবনী,যাতে তারাই আবার কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল হতে পারে সেই মন্ত্র। আবার স্ফুরণের সত্ত্বারা পড়ালেখার ক্লান্তি কাটাতে ঘোরাঘুরি কিংবা খেলাধুলাতেও কম যায়না। স্ফুরণের বছরময় পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে নবীন বরণ,বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন ও স্মারক উন্মোচন,চলচ্চিত্র উৎসব,অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা,বাংলা বর্ষবরণ,দেয়ালিকা,এনাটমি অলিম্পিয়াড,মেডিস্পেল,মেডিফিগ,ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,স্ফুরণ নাইট ইত্যাদি অধিকভাবে উল্লেখযোগ্য।এসকল প্রতিযোগিতার অধিকাংশেই অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মত।স্ফুরণের হাত ধরে যা কিছু প্রথম- মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শর্টফিল্ম "এবং আমরাও",দেশের সর্বপ্রথম আল্ট্রাভায়োলেট ম্যাজিক ডান্স শো,বামুন নৃত্য প্রভৃতি।মোদ্দাকথা,স্ফুরণ এর প্রতিটি অনুষ্ঠানই মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সম্মিলন এবং সংস্কৃতিতে ভাস্বর,আরেকধাপ এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
৭টি বছর পেরিয়ে স্ফুরণ এখন ৮ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনের মত স্ফুরণেরও রয়েছে একটি সাংগঠনিক কাঠামো। এর মধ্য দিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বচর্চার বিকাশ ঘটছে।আর আজ স্ফুরণ সারাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে রূপলাভ করেছে। রোগ-শোক আর কঙ্কালের সাথে বসবাস করতে গিয়ে মনটাও যেন পাষাণসম না হয়ে যায় তার জন্য এক প্রয়াস হল স্ফুরণ।শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি আসার এক যোগসূত্রও বটে।স্ফুরিত হোক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি সারাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মানবসেবায় ব্রতী সাদা এপ্রনের সাহসী-সাহসিকাদের প্রাণ-প্রতিভা।আর সেই প্রগতিশীল মেডিকেলীয় চিন্তা-চেতনার বিকাশের আন্দোলনের অগ্রভাগে স্ফুরণ থাকবে সদাসর্বদা সমুজ্জ্বল।
(কৃতজ্ঞতাঃ মেহেদী শাহরিয়ার রীহান, সাবেক সভাপতি, স্ফুরণ)
পৃথিবীসম পড়ার চাপ, সাপ্লি, হতাশা। মেডিকেল লাইফের দুঃসহ পথে একাকী হাঁটা। আড্ডা, বন্ধুত্ব, মাস্তি,গীটারের টুংটাং,গলা ছেড়ে গান ধরা,ছোটখাট ডকুমেন্টারি-মিউজিক ভিডিও তৈরির চেষ্টা।কেউ কেউ মাইকেল জ্যাকসনের গানের সাথে নিজের অজান্তেই নেচে উঠে,আবার কেউ কেউ ক্লাসিক্যাল নাচে পারদর্শী।দুই-একজন আবার সবাইকে হাসায়,আড্ডা মাতিয়ে রাখে।আর এসবের কোনোটাতেই যে ছেলে বা মেয়েটা নেই,সে কলেজের কোনো এক কোনে বসে গুনগুন গান করে,অথবা বাড়ির-পরিবারের সবার কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।সবাই বিচ্ছিন্ন।কিন্তু প্রত্যেকের মধ্যেই যে একটি করে সংস্কৃতিমনা মানুষ অন্তরালে বাস করছে,তা কি কেঊ খেয়াল করেছে? বলছিলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শুরুর দিকের গল্প,কিন্তু এ গল্প সারাদেশের সব মেডিকেলের সার্বজনীন নয় কি? Together We Enjoy Our Pain -এই মূলমন্ত্র নিয়ে ০৯/০৯/০৯ এ স্ফুরণের পথচলা শুরু শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সর্বপ্রথম সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে।
যে ছেলেটা মফঃস্বল থেকে প্রথমবারের মত শহরে এসে খাবি খায়,আজ তার জন্য সাহায্যের হাত,বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় স্ফুরণ।এখানে যেমন আছে সিনিয়রদের স্নেহ,তেমনি আছে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নবযৌবনপ্রাপ্ত জুনিয়রদের বেড়ে উঠার তাগিদ।যেমন আছে সাংস্কৃতিক সত্বার বিকাশের সুযোগ,তেমনি আছে পিছিয়ে পড়াদের জন্য উৎসাহ আর সঞ্জীবনী,যাতে তারাই আবার কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল হতে পারে সেই মন্ত্র। আবার স্ফুরণের সত্ত্বারা পড়ালেখার ক্লান্তি কাটাতে ঘোরাঘুরি কিংবা খেলাধুলাতেও কম যায়না। স্ফুরণের বছরময় পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে নবীন বরণ,বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন ও স্মারক উন্মোচন,চলচ্চিত্র উৎসব,অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা,বাংলা বর্ষবরণ,দেয়ালিকা,এনাটমি অলিম্পিয়াড,মেডিস্পেল,মেডিফিগ,ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,স্ফুরণ নাইট ইত্যাদি অধিকভাবে উল্লেখযোগ্য।এসকল প্রতিযোগিতার অধিকাংশেই অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মত।স্ফুরণের হাত ধরে যা কিছু প্রথম- মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শর্টফিল্ম "এবং আমরাও",দেশের সর্বপ্রথম আল্ট্রাভায়োলেট ম্যাজিক ডান্স শো,বামুন নৃত্য প্রভৃতি।মোদ্দাকথা,স্ফুরণ এর প্রতিটি অনুষ্ঠানই মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সম্মিলন এবং সংস্কৃতিতে ভাস্বর,আরেকধাপ এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
৭টি বছর পেরিয়ে স্ফুরণ এখন ৮ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনের মত স্ফুরণেরও রয়েছে একটি সাংগঠনিক কাঠামো। এর মধ্য দিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বচর্চার বিকাশ ঘটছে।আর আজ স্ফুরণ সারাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে রূপলাভ করেছে। রোগ-শোক আর কঙ্কালের সাথে বসবাস করতে গিয়ে মনটাও যেন পাষাণসম না হয়ে যায় তার জন্য এক প্রয়াস হল স্ফুরণ।শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি আসার এক যোগসূত্রও বটে।স্ফুরিত হোক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি সারাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মানবসেবায় ব্রতী সাদা এপ্রনের সাহসী-সাহসিকাদের প্রাণ-প্রতিভা।আর সেই প্রগতিশীল মেডিকেলীয় চিন্তা-চেতনার বিকাশের আন্দোলনের অগ্রভাগে স্ফুরণ থাকবে সদাসর্বদা সমুজ্জ্বল।
(কৃতজ্ঞতাঃ মেহেদী শাহরিয়ার রীহান, সাবেক সভাপতি, স্ফুরণ)